ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া (আপডেট) ২০২৫
প্রিয় পাঠক, ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া সম্পর্কে যদি
আপনি আপডেট তথ্য পেতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্যই। কেননা
আজকের আর্টিকেলে আমরা এইসকল বিষয় সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে
জানাবো...
যেটা আপনার ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করবে। আপনার ট্যুরকে শান্তিময় করতে ট্রেনের সঠিক সময় ও এর প্রতিটি সিটের
ভাড়া জানা প্রয়োজন যেটা এখন আপনাকে আমি জানাবো। সাথে ট্যুরকে আরো বেশি শান্তিময়
করতে কিছু টিপস আপনার সাথে শেয়ার করবো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী ও প্রয়োজনীয় তথ্য
- ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী (আপডেট)
- ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের ভাড়া কত
- কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
- ঢাকা টু কক্সবাজার কত কিলোমিটার
- কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কেমন
- ঢাকা টু কক্সবাজার আরামদায়ক ট্রেন ভ্রমণের টিপস
- ঢাকা টু কক্সবাজার বাস ভাড়া কত টাকা
- ঢাকা টু কক্সবাজার ভ্রমণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- আমাদের শেষ মন্তব্য
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী (আপডেট)
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সঠিক সময়সূচী কি পাওয়া সম্ভব? হ্যাঁ, আমার এই
ওয়েবসাইটে আপনি প্রতিটি ট্রেনের সময়সূচী সঠিক এবং আপডেট পেতে পারেন। আর ঢাকা
থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য এর সঠিক এবং আপডেট সময়সূচি নিয়েই এখন আমরা
আলোচনা করব। যার কারণে আমাদের ট্রেন ভ্রমণ কিছুটা হলেও শান্তিময় এবং
আরামদায়ক হবে। চলুন তাহলে নিচের টেবিল থেকে সহজে জেনে নেওয়া যাক।
ট্রেনের নাম | ট্রেনের নাম্বার | ট্রেন ছাড়ার সময় | ট্রেন পৌঁছার সময় | যেদিন বন্ধ থাকে |
---|---|---|---|---|
কক্সবাজার এক্সপ্রেস | ৮১৩ নাম্বার | রাত ১০ঃ৩০ মিনিট | ভোর ৬ঃ৪০ মিনিট | মঙ্গলবার |
পর্যটক এক্সপ্রেস | ৮১৫ নাম্বার | রাত ৮ঃ০০ মিনিট | সকাল ৭ঃ২০ মিনিট | রবিবার |
ঈদ বা বিশেষ ছুটির সময় এই রুটে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ট্রেন সেবা পাওয়ার
সময়সূচীঃ
ট্রেনের নাম | রুট | ট্রেন ছাড়ার সময় | ট্রেন পৌঁছার সময় | যে সময় চলতে পারে |
---|---|---|---|---|
তূর্ণা এক্সপ্রেস স্পেসাল | চট্টগ্রাম- কক্সবাজার | সকাল ৭ঃ০০ মিনিট | সকাল ১০ঃ২০ মিনিট | ঈদের আগে ও পরে ১০ দিনের জন্য চলতে পারে |
তুর্না এক্সপ্রেস স্পেসাল | কক্সবাজার- চট্টগ্রাম | বিকেল ৭ঃ০০ মিনিট | রাত ১০ঃ০০ মিনিট | ঈদের জন্য বিশেষ সেবা দিতে পারে |
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের ভাড়া কত
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য যেমন আমাদের সময়সূচি জানা জরুরি ঠিক তেমনি
আমাদের জানা উচিত এই রুটে প্রতিটি ট্রেনের প্রতিটি সিটের ভাড়া কত টাকা। এখন
আমরা আলোচনা করবো এই রুটে চলাচল করা ট্রেনের প্রতিটি সিটের সঠিক ভাড়া সম্পর্কে।
যেটা জানার ফলে আপনি অনেক বেশি উপকৃত হতে পারেন। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে
নিচের টেবিল থেকে এর ভাড়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ট্রেনের সিটের ধরণ | ভাড়ার পরিমান |
---|---|
শোভন চেয়ার | ৬৯৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ১৩২৫ টাকা |
এসি চেয়ার | ১৫৯০ টাকা |
এসি বার্থ | ২৩৮০ টাকা |
কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
প্রিয় পাঠক, ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমরা
জেনে গেছি। কিন্তু এর পাশাপাশি কক্সবাজার টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী জানা
আমাদের জন্য অনেক জরুরি বলে মনে করি।কেননা কক্সবাজার থেকে আবার ঢাকা আসার জন্য
আমাদের এর সময়সূচী জানতে হতে পারে। যেটা আমরা এখন জানার ফলে চিন্তামুক্ত থাকবো
এবং আমাদের অতিরিক্ত সময় নষ্ট হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। তাহলে চলুন সহজে এবং
তাড়াতাড়ি এটা জেনে নেওয়া যাক।
ট্রেনের নাম | ট্রেনের নাম্বার | ট্রেন ছাড়ার সময় | ট্রেন পৌঁছার সময় | যেদিন বন্ধ থাকে |
---|---|---|---|---|
কক্সবাজার এক্সপ্রেস | ৮১৪ | দুপুর ১২ঃ৪০ মিনিট | রাত ৯ঃ১০ মিনিট | সোমবার |
পর্যটক এক্সপ্রেস | ৮১৬ | দুপুর ৩ঃ৫০ মিনিট | রাত ৮ঃ০০ মিনিট | রবিবার |
ঢাকা টু কক্সবাজার কত কিলোমিটার
আমরা যখন ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবো বা যেতে চায় তখন আমাদের মাঝে এই প্রশ্ন
আসতে পারে যে এর দূরত্ব কতটুকু? যার জন্য কিন্তু আমরা গুগলে এসে
সরাসরি সার্চ করি। আর আমারো মনেহয় ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পূর্বে আমাদের
এর দূরত্ব জানা উচিত। সেক্ষেত্রে আমরা যদি ঢাকা টু কক্সবাজার এর সড়ক
পথের দূরত্ব হিসেব করি তাহলে এটি মোট ৩৯০ কিলোমিটার এর মতো । আবার
আপনি যেহেতু ট্রেনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চান সেহেতু আমরা যদি রেলপথে এর
দূরত্ব হিসেব করি তাহলে এটি প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার এর মতো পড়ে। যেটা সড়ক পথ
থেকে ৮০ কিলোমিটার এর মতো বেশি। অপরদিক থেকে আকাশপথে এর দূরত্ব পড়ে ২৯০-২৯২
কিলোমিটার এবং পানিপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এর দূরত্ব পড়ে প্রায় ২৫০
কিলোমিটার এর মতো।
কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা কেমন
কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আসলে কেমন? প্রশ্নটা যদি আপনি আমাকে
করেন তাহলে আমি এক কথায় বলবো এটা একটা দারুন অভিজ্ঞতা। কেননা আপনি যখন
কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন তখন জনবহুল ঢাকা থেকে ট্রেনে আরামদায়ক আসনে
বসার সাথে সাথে মনে একটা অন্যরকম শান্তি অনুভব হবে আপনার। আর ট্রেন চলাকালিন
সময়ে জানালার পাশের সিটে বসে সবুজ প্রকৃতি,
নদি-নালা এবং গ্রামের পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। এছাড়াও আপনি যখন
চট্টগ্রাম পার হবেন তারপরে সেই পাহাড়ের দৃশ্য এবং নীল আকাশ আপনাকে এক অন্য
জগতে নিয়ে যাবে। যেখানে শুধু শান্তি আর ভালোলাগা কাজ করবে আপনার। তবে আসল মজা
হচ্ছে ট্রেন ভ্রমণের একদম শেষ পর্যায়ে।
আরো পড়ুনঃ ২৪০ টাকা ফ্রিতে নিন বিকাশে খুব সহজে
কেননা তখন আপনি জানালা দিয়ে দেখতে পাবেন সমুদ্রের দিক থেকে এগিয়ে আসা রাস্তা।
যেন মনে হবে আপনাকে বরন করে নেওয়ার জন্য রাস্তাটা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
সাথে সমুদ্রের লবনাক্ত সেই বাতাসের গন্ধে আপনি কক্সবাজারের সেরা ফিল পাবেন।
বিশ্বাস করেন এর চেয়ে সেরা মুহূর্ত আর নেই। তাই চোখ বন্ধ করে বলা যায় এই
অভিজ্ঞতা আপনার জীবনের সেরা কিছু হতে পারে।
ঢাকা টু কক্সবাজার আরামদায়ক ট্রেন ভ্রমণের টিপস
আপনি যদি চান তাহলে আপনার ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভ্রমণকে অনেক বেশি আরামদায়ক
করে তুলতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিছু টিপস জানতে হবে। যেটা এখন
আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো। আশা করা যায় আপনি যদি এর রুলস গুলো ফলো করেন
তাহলে একটা আরামদায়ক জার্নি করতে পারবেন। তাহলে চলুন টিপস গুলো জেনে নেওয়া
যাক।
- সর্ব প্রথমে আপনাকে ভ্রমণের ৪-৭ দিন আগে অনলাইনে কিংবা কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
- ভ্রমণকে অনেক বেশি আরামদায়ক করতে চেষ্টা করবেন সেরা সিট বাছায় করে নেওয়ার। জানালার পাশের সিট নিতে পারেন যার ফলে পুরো ভ্রমণের ফিল সুন্দরভাবে পাবেন।
- চেষ্টা করবেন অধিক প্রয়োজনীয় এবং কম পরিমাণে জিনিস সাথে নেওয়ার। এতে করে বাড়তি চিন্তা বা ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
- বিশেষ করে মোবাইল, মানিব্যাগ কিংবা এই ধরনের অধিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সবসময় সাথে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে হারানোর ভয় কিছুটা হলেও কম লাগবে।
- ঢাকা থেকে কক্সবাজার কোন সময় ট্রেন ছাড়বে এটা সঠিকভাবে জেনে নিশ্চিত হয়ে নিন। তারপরে ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে উপস্থিত হন। যার ফলে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন।
- আপনি চাইলে আপনার পছন্দের কিছু শুকনা খাবার সাথে রাখতে পারেন। যদিও ট্রেনে খাবার পাওয়া যায় তারপরেও নিজের স্বার্থের নিরাপত্তার জন্য এটি করা আপনার উচিত হবে।
- ফোনের চার্জের সমস্যা এড়াতে পাওয়ার ব্যাংক সাথে নিতে পারেন। কেননা ভ্রমণের সময় এটি অধিক কার্যকরী হয়ে ওঠে।
- ট্রেনে উঠলে হালকা শারীরিক সমস্যা বিশেষ করে মাথাব্যথা বা পেটের সমস্যা হতে পারে তাই পূর্বে থেকে কিছু ওষুধ সাথে রাখুন।
- জানালার পাশে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে করতে যান। এতে করে অনেক বেশি মানসিক শান্তি পাবেন।
- ট্রেন থেকে যে মুহূর্তে নামবেন তার কমপক্ষে ১০ মিনিট পূর্বে সমস্ত ব্যাগ পত্র গুছিয়ে নিন। জেনো নামার সময় কোন ঝামেলা না হয়।
ঢাকা টু কক্সবাজার বাস ভাড়া কত টাকা
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা ঢাকা থেকে কক্সবাজার বাসে করে যেতে চায়।
কিন্তু গুগলে এসে সার্চ করলে তেমনভাবে বাসের ভাড়া বা কোন বাসে যাবে এসব
সম্পর্কে তেমনভাবে জানতে পারে না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এখন আমরা আলোচনা করবো
ঢাকা থেকে কক্সবাজার কোন বাসে যেতে পারবেন এবং এর প্রতিটি সিটের ভাড়া কত পড়বে।
চলুন তাহলে নিচের টেবিল থেকে জেনে নিই।
বাসের নাম | বাসের ধরণ | সিটের ধরণ | ভাড়ার পরিমান |
---|---|---|---|
গ্রীন লাইন | এসি বাস | বিজনেস ক্লাস | ২৫০০ টাকা |
এসি বাস | ইকোনমি ক্লাস | ২২০০ টাকা | |
সোহাগ পরিবহন | এসি বাস | বিজনেস ক্লাস | ২৫০০ টাকা |
এসি বাস | ইকোনমি ক্লাস | ২২০০ টাকা | |
এনা ট্রান্সপোর্ট | এসি বাস | বিজনেস ক্লাস | ২২০০ টাকা |
নন-এসি বাস | ইকোনমি ক্লাস | ১৬০০ টাকা | |
সেন্ট মার্টিন পরিবহন | এসি বাস | লাক্সারি স্লিপার | ২৫০০ টাকা |
এসি বাস | ইকোনমি ক্লাস | ২২ ০০ টাকা | |
দেশ ট্র্যাভেলস | এসি বাস | বিজনেস ক্লাস | ২২০০ টাকা |
নন-এসি বাস | ইকোনমি ক্লাস | ১৬০০ টাকা | |
হানিফ এন্টারপ্রাইজ | এসি বাস | বিজনেস ক্লাস | ২২০০ টাকা |
নন-এসি বাস | ইকোনমি ক্লাস | ১৬০০ টাকা |
ঢাকা টু কক্সবাজার ভ্রমণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী বা এর ভাড়া সম্পর্কে জানা ছাড়াও আমাদের
অনেকের মনের মধ্যে এর ভ্রমণ সম্পর্কে বিভিন্ন রকমের ছোট খাটো প্রশ্ন ঘুরপাক খায়
যেটার সঠিক উত্তর তেমন ভাবে আমরা কোথাও পায়না। তাই আপনাদের জন্য ঢাকা টু
কক্সবাজার সম্পর্কিত অধিক হারে জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে এখন আমরা
আলোচনা করবো। যার ফলে আমাদের মনের মধ্যেকার সব প্রশ্নের উত্তর একসাথে আমরা জেনে
যাবো।
১। প্রশ্নঃ ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের টিকিট কাটার সেরা সময় কখন?
উত্তরঃ আপনার যাত্রার কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত দিন পূর্বে টিকেট কাটা উত্তম
হবে। এটাই সেরা সময়।
২। প্রশ্নঃ কক্সবাজার যাওয়ার পরে স্টেশন থেকে সরাসরি বাসে করে কি সমুদ্র
সৈকতে যাওয়া যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ। আপনি বাসে করে কিংবা অটোরিকশা বা রিক্সাই করে সহজে স্টেশন
থেকে সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাতে পারবেন।
৩। প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে কক্সবাজার দিনের বাসে নাকি রাতের বাসে যাওয়া ভালো
হবে?
উত্তরঃ আপনি যদি বাসে যান তাহলে রাতের বাসে যাওয়া ভালো হবে। কেননা
যেতে যেতে সকাল হয়ে যাবে এবং সেই সময় হোটেলে চেক ইন সহজ হবে এবং আপনার
অতিরিক্ত সময় বেঁচে যাবে।
৪। প্রশ্নঃ ঢাকা টু কক্সবাজার বাসে গেলে কোন সেট সবচেয়ে বেশি আরামদায়ক
হবে?
উত্তরঃ বাসে যদি যেতে চান তাহলে সামনের দিকে জানালার পাশের সিট নিতে
পারেন। এতে করে যেমন ঝাকুনি কম লাগবে ঠিক তেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সামনে
থেকে উপভোগ করতে পারবেন।
৫। প্রশ্নঃ কয় দিনের জন্য কক্সবাজার ভ্রমণ করা ভালো হবে?
উত্তরঃ এটা আপনার উপর নির্ভর করবে। তবে কমপক্ষে দুই রাত তিন দিন থাকার
চেষ্টা করবেন। এতে করে সমুদ্র সৈকত সহ আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো
ভালোভাবে ঘুরে দেখতে পারবেন।
৬। প্রশ্নঃ ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের স্লিপার কেবিন কেমন হবে?
উত্তরঃ এটি অনেক বেশি আরামদায়ক হতে পারে। পাশাপাশি এতে এয়ারকন্ডিশন
রয়েছে এবং আপনার গোপনীয়তা বেশি পাবেন।
৭। প্রশ্নঃ কক্সবাজারে হোটেল বুকিং আগে করা ভালো নাকি পরে গিয়ে করা ভালো
হবে?
উত্তরঃ আপনি যদি মৌসুমী ঘুরতে চান তাহলে আগে বুকিং করে নেওয়ায় ভালো
হবে। নতুবা অন্য সময় গেলে পৌঁছে করে নিতে পারেন সমস্যা নেই।
৮। প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে কোন মৌসুমে কম ভিড় থাকে?
উত্তরঃ বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ভিড় তুলনামূলক কম
থাকতে পারে। আপনি যদি কম ভিড়ের সময় যেতে চান তাহলে এই সময় যেতে পারেন। তবে এই
সময় সমুদ্রের ঢেউ একটু বেশি থাকে।
আমাদের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচী ও এর
সঠিক ভাড়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এর পাশাপাশি আপনার ভ্রমণকে
কিভাবে আরামদায়ক করবেন সে সমস্ত টিপস খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন
করেছি। ট্রেনের বিকল্পে আপনি কিভাবে যেতে পারেন সেই সকল বিষয়েও খুব
সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল আপনার পুরো যাত্রার
জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল জানতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইট
ফলো করে সাথে থাকুন। এখানে আপনি নিয়মিত এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল
এবং টিপস রিলেটেড আর্টিকেল পেয়ে যাবেন। হ্যাপিনেস ভ্লগ এর অ্যাডমিন আমি
লিখন ভাইয়া সর্বদা আপনার সেবায় নিয়োজিত।
প্রতিনিয়ত অনেক ভাই অনেক কিছু জানার জন্য যোগাযোগ করে যাচ্ছে। আপনার কোন
বিষয় জানার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমার এই ওয়েবসাইটের যোগাযোগ অফশন থেকে যোগাযোগ করবেন। চেষ্টা করবো পাশে থাকার।
হ্যাপিনেস ভ্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url